শহিদুল ইসলাম।
কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাধারণ রোহিঙ্গারা ফুঁসে উঠেছে। এতে বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে। সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর আর এস ও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য বিস্তার করতে রোহিঙ্গাদের উপর গুলি ও তাঁদের বসতিতে হামলা চালায়।এতে অনেকের ঘর-বাড়ি ভাংচুর করেছেন।এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।অপর তিনজন গনপিঠুনিতে শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়। গুলিবিদ্ধরা উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প অভ্যন্তের থাকা এনজিও সংস্থার পরিচালনাধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গুলিবিদ্ধরা হলো নাদির হোসেনের ছেলে মো: ইব্রাহিম(১৭),আবু সামার এর ছেলে নুর হোসেন(১৪),
আব্দুর রহিম এর ছেলে মো: জোনায়েদ(১০)। এরা তিনজন উখিয়ার চার নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। অপরজন উখিয়ার তিন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবুল খায়ের এর ছেলে মো:সেলিম(৮)।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় উখিয়ার চার নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৮ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সাধারণ রোহিঙ্গা কতৃর্ক আরএসও সদস্য শফির পরিবারের সদস্যদের গনপিঠুনি দেয়। এতে তিনজন আহত হয়।
আহতরা হলো উখিয়ার চার নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-১ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ :ছিদ্দিক এর স্ত্রী /নুর বাহার(৫০)।তার ছেলে মো: শফি(১৭)।আরেকজন নাম জানা যায়নি।এদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে মোড়ে মোড়ে ২০/৩০ জন করে লাঠি নিয়ে অবস্থান করছে।সন্ত্রাসী গ্রুপকে প্রতিহত করতে এ অবস্থান।
মিয়ানমারের রাখাইনে যুদ্ধ করতে কয়েকদিন ধরেই লাম্বাশিয়ায় এলাকাসহ ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে আরএসও’র সদস্যরা। রোহিঙ্গারা এতে অস্বীকৃতি জানালে আজ তাদের ওপর আরএসওর সদস্যরা গুলি বর্ষণ ও শেড ভাংচুর করা হয়। এতে প্রায় দশ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শামীম হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাতজন আহত হয়।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল বলেন, দুর্বৃত্তদের গুলিতে চার রোহিঙ্গা বিদ্ধ হয়েছেন বলে জেনেছি। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে
পাঠকের মতামত